সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরে বাংলা নাটক ও নাট্যকার:
বাংলা
নাটকের আদিপর্ব:
প্রশ্ন ১। বাংলা ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটকের নাম কি?
উত্তর। তারাচরণ শিকদার রচিত ‘ভদ্রাৰ্জ্জুন’ (১৮৫২) বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক।
প্রশ্ন ২। সর্বপ্রথম বাংলা নাটকের অভিনয় কোথায় হয়েছিল?
উত্তর। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে শ্যামবাজারে নবীন বসুর বাড়িতে বাংলা নাটকের প্রথম অভিনয় হয়।
প্রশ্ন ৩। কুলীনকুলসর্বস্ব কার রচনা? কত সালে নাটকটি প্রকাশিত হয় ?
উত্তর। রামনারায়ণ তর্করত্ন ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’ নাটকের লেখক। নাটকটি ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ৪। বাংলা ভাষায় লিখিত প্রথম বাংলা ট্র্যাজেডি কোনটি?
উত্তর। যোগেন্দ্র গুপ্ত লিখিত ‘কীর্তিবিলাস’ (১৮৫২) বাংলা ভাষায় লিখিত প্রথম ট্র্যাজেডি।
প্রশ্ন ৫। বাংলা ভাষায় ইংরেজি আদর্শে রচিত কমেডি কোনটি?
উত্তর। তারাচরণ শিকদারের রচিত ‘ভদ্রাৰ্জ্জুন’ ইংরেজি আদর্শে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কমেডি রচনা।
প্রশ্ন ৬। হরচন্দ্র ঘোষের প্রথম নাটক কবে প্রকাশিত হয়? এটি কোন নাটকের আদর্শে লিখিত?
উত্তর। হরচন্দ্র ঘোষের প্রথম নাটক ‘ভানুমতী চিত্তবিলাস’ ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এটি শেক্সপীয়রের ‘মার্চেন্ট অব্ ভেনিসের’ আদর্শে লিখিত।
প্রশ্ন ৭। বাংলা রঙ্গমঞ্চ স্থাপনে প্রথম উদ্যোগী কে ছিলেন?
উত্তর। হেরাসিম লেবেডেফ নামে একজন রুশ ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে নাটক অভিনয়ের উদ্দেশ্যে রঙ্গমঞ্চ স্থাপন করেন।
মধুসূদন দত্ত:
প্রশ্ন ৮। বাংলা নাটকের দৈন্যদশা দেখে কে বাংলা নাটক রচনায় অনুপ্রাণিত হন ?
উত্তর। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জুলাই পাইকপাড়ায় বেলগাছিয়া রঙ্গমঞ্চে রামনারায়ণ তর্করত্ন-অনূদিত ‘রত্নাবলী’র অভিনয় দেখে মধুসূদন বাংলা ভাষায় মৌলিক নাটক রচনায় প্রয়াসী হন।
প্রশ্ন ৯। মধুসূদনের প্রথম নাটকের নাম কি এবং কবে প্রকাশিত হয় ?
উত্তর। ‘শর্মিষ্ঠা’ মধুসূদনের প্রথম নাটক। ১৮৫৯ সালে নাটকটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ১০। মধুসূদন প্রথম কোন্ নাটকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন?
উত্তর। ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০) নাটকে কলির সংলাপে মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন।
প্রশ্ন ১১। মধুসূদনের ঐতিহাসিক নাটক ‘কৃষ্ণকুমারীর’ কাহিনী কোথা থেকে গৃহীত হয়েছে?
উত্তর। টডের Annals and antiquities of Rajasthan থেকে কৃষ্ণকুমারীর কাহিনী গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্ন ১২। মধুসূদনের ‘শর্মিষ্ঠা’ কবে প্রকাশিত হয়? তাঁর জীবিতকালে প্রকাশিত সর্বশেষ গ্রন্থের নাম ও তার প্রকাশকাল লেখ।
উত্তর। মধুসূদনের ‘শর্মিষ্ঠা’ ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। মধুসূদনের জীবিতকালে শেষ নাটক ‘মায়াকানন’ ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ১৩। মধুসূদন দত্তের দুটি প্রহসনের নাম ও প্রকাশকাল লেখ।
উত্তর। মধুসূদন দত্তের প্রহসন দুটি যথাক্রমে ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ উভয়েই ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত।
প্রশ্ন ১৪। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক কোনটি?
উত্তর। মধুসূদনের ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১) বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রথম ঐতিহাসিক নাটক।
প্রশ্ন ১৫। মধুসূদনের অন্যান্য নাটকগুলির পরিচয় দাও।
উত্তর। মধুসূদনের অন্যান্য নাটকগুলি যথাক্রমে শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯), পদ্মাবতী (১৮৬০)। শর্মিষ্ঠাতে ভারতীয় পুরাণ, পদ্মাবতীতে গ্রীক পুরাণ রূপায়িত হয়েছে।
দীনবন্ধু মিত্র:
প্রশ্ন ১৬। নীলদর্পণ কার লেখা?
উত্তর। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘নীলদর্পণ’ দীনবন্ধু মিত্রের (১৮১৯-১৮৭৩) রচনা।
প্রশ্ন ১৭। দীনবন্ধুর নাটকগুলির একটি শ্রেণিবিভাগ কর।
উত্তর। দীনবন্ধুর নাটকগুলি যথাক্রমে—নবীন তপস্বিনী (১৮৬৩), কমলেকামিনী (১৮৭৩)—এ দুটি রোমান্স। বিয়ে পাগলা বুড়ো (১৮৬৬), সধবার একাদশী (১৮৬৬), জামাইবারিক (১৮৭২) –এগুলি প্রহসন।
প্রশ্ন ১৮। দীনবন্ধু মিত্রের দুখানি কাব্যের নাম বল।
উত্তর। দীনবন্ধু মিত্র ‘সুরধুনী কাব্য’ ১ম খণ্ড (১৮৭১) এবং ‘দ্বাদশ কবিতা’ (১৮৭২) নামে দুখানি কাব্য রচনা করেন।
প্রশ্ন ১৯। দীনবন্ধুর সর্বশেষ নাটক কোনটি?
উত্তর। দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক ‘কমলেকামিনী’ (১৮৭৩)।
প্রশ্ন ২০। ‘নীলদর্পণ’ লেখার সময় দীনবন্ধু মিত্র কি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন?
উত্তর। ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০) নাটক প্রকাশকালে দীনবন্ধু ছদ্মনাম ব্যবহার করেন— ‘কেনচিৎ পথিকে নাভিপ্রণীতম।’
প্রশ্ন ২১। দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ কি কি কারণে স্মরণীয়?
উত্তর। নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনীকে বৃহত্তর সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে দীনবন্ধু নীলদর্পণ নাটক রচনা করেন। এই নাটক প্রকাশিত হলে পার্লিয়ামেন্টে আইন করে নীল চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নীলদর্পণের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদরী জেমস্ লঙ-এর জরিমানা হয়।
প্রশ্ন ২২। দীনবন্ধুর শ্রেষ্ঠ প্রহসন কোনটি?
উত্তর। ‘সধবার একাদশা’ দীনবন্ধুর শ্রেষ্ঠ প্রহসন।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ:
প্রশ্ন ২৩। গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাটকাবলীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাও।
উত্তর। গিরিশচন্দ্রের (১৮৪৪-১৯১১) নাটকাবলীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিম্নরূপ—
ক. গীতিনাট্য—আগমনী (১৮৭৭), অকালবোধন (১৮৭৭), দোললীলা (১৮৭৮), মোহিনী প্রতিমা (১৮৮১)।
খ. পৌরাণিক নাটক—শিবের বিবাহ, রামলীলা, রাবণবধ, সীতার বনবাস, অভিমন্যু বধ (১৮৮১-তে প্রকাশিত), সীতার বিবাহ, ব্রজবিহার, সীতাহরণ (১৮৮২), পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস দক্ষযজ্ঞ, ধ্রুবচরিত্র, নলদময়ন্তী (১৮৮৩), কমলে-কামিনী, বৃষকেতু, শ্রীবৎসচিন্তা, প্রহ্লাদ চরিত্র (১৮৮৪), প্রভাসযজ্ঞ (১৮৮৫), মহাপূজা (১৮৯০), জনা (১৮৯৩), পাণ্ডবগৌরব (১৯০০)।
গ. চরিত নাটক—চৈতন্যলীলা, নিমাইসন্ন্যাস, বুদ্ধদেবচরিত, রূপ-সনাতন, বিশ্বমঙ্গল পূর্ণচন্দ্র, করমেতিবাঈ, শঙ্করাচার্য।
ঘ. ঐতিহাসিক নাটক—অশোক (১৯০৪), সিরাজদ্দৌলা (১৯০৬), মীরকাশিম (১৯০৬), ছত্রপতি শিবাজী (১৯০৭)।
৫. সামাজিক নাটক—প্রফুল্ল (১৮৮৯), হারানিধি (১৮৯০), মায়াকানন (১৮৯৮), বলিদান (১৯০৫)।
প্রশ্ন ২৪। গিরিশচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ পৌরাণিক নাটক কোনটি ?
উত্তর। ‘জনা’ গিরিশচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ পৌরাণিক নাটক।
প্রশ্ন ২৫। গিরিশচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ দুটি সামাজিক নাটকের নাম কর।
উত্তর। ‘প্রফুল্ল’ ও ‘বলিদান’ গিরিশচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ সামাজিক নাটক।
প্রশ্ন ২৬। গিরিশচন্দ্র রচিত বিশ্বমঙ্গল নাটকের উৎস নির্ণয় কর।
উত্তর। নাভাদাসের ‘ভক্তমাল’ গ্রন্থে বহু সাধকের জীবনকাহিনী লিপিবদ্ধ আছে। ওই গ্রন্থে বিশ্বমঙ্গলের কাহিনীও লিপিবদ্ধ আছে।
ক্ষীরোদপ্রসাদ:
প্রশ্ন ২৭। ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের প্রথম নাটক কি?
উত্তর। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ফুলশয্যা’ নামে দৃশ্যকাব্য ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদের প্রথম নাটক।
প্রশ্ন ২৮। ক্ষীরোদপ্রসাদের শেষ নাটক কোনটি ?
উত্তর। ক্ষীরোদপ্রসাদের (১৯৬৩-১৯২৭) শেষ নাটক নর-নারায়ণ (১৯২৬)।
প্রশ্ন ২৯। ক্ষীরোদপ্রসাদের পৌরাণিক নাটক কি কি?
উত্তর। ক্ষীরোদপ্রসাদের কয়েকটি পৌরাণিক নাটক সাবিত্রী, মন্দাকিনী, নর-নারায়ণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩০। ক্ষীরোদপ্রসাদের কয়েকটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম কর।
উত্তর। বঙ্গে প্রতাপাদিত্য, পদ্মিনী, চাঁদবিবি, বঙ্গে রাঠোর, আলমগীর প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত ঐতিহাসিক নাটক।
প্রশ্ন ৩১। ক্ষীরোদপ্রসাদের প্রথম ও শেষ নাটক দুটির নাম ও প্রকাশকাল বলো।
উত্তর। ক্ষীরোদপ্রসাদের প্রথম নাটক ‘ফুলশয্যা’ (১৮৯৪) ও শেষ নাটক ‘নর-নারায়ণ’ (১৯২৬)।
প্রশ্ন ৩২। ক্ষীরোদপ্রসাদের রঙ্গনাট্য-গীতিনাট্য জাতীয় রচনাগুলির নাম বলো।
উত্তর। ক্ষীরোদপ্রসাদের রঙ্গনাট্য-গীতিনাট্য জাতীয় রচনাগুলির যথাক্রমে আলিবাবা, জুলিয়া, বেদৌয়া, কিন্নরী, ডালি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩৩। ক্ষীরোদপ্রসাদের গীতিকাব্য-নাট্যকাব্য জাতীয় রচনা কোনগুলি?
উত্তর : বভ্রূবাহন, বৃন্দাবনবিলাস ও রাধাকৃষ্ণ প্রভৃতি গীতিকাব্য নাট্যকাব্য জাতীয় রচনা।
প্রশ্ন ৩৪। ক্ষীরোদপ্রসাদের কল্পনামূলক নাটক কোনগুলি?
উত্তর। ক্ষীরোদপ্রসাদের কল্পনামূলক নাটকগুলি হল প্রমোদরঞ্জন, কুমারী বাসন্তী, দৌলতে দুনিয়া, মিডিয়া, বাদশাজাদী ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩৫। নর-নারায়ণ নাটকের বিষয়বস্তু কি?
উত্তর। নিয়তি-তাড়িত পুরুষকার কর্ণের জীবনের নাট্যরূপ ও কর্ণের জীবনের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের নারায়ণত্ব প্রতিষ্ঠা আলোচ্য নাটকের বিষয়বস্তু।
প্রশ্ন ৩৬। ক্ষীরোদপ্রসাদের ধর্ম-মাহাত্ম্যমূলক কয়েকটি নাটকের নাম কর।
উত্তর। রঞ্জাবতী (১৯০৩), রামানুজ (১৯১৬), বিদুরথ (১৯২৩) প্রভৃতি ধর্ম-মাহাত্ম্যমূলক নাটক।
প্রশ্ন ৩৭। ‘পদ্মিনী’ নাটকের বিষয়বস্তু কি?
উত্তর। চিতোরের রানা লক্ষ্মণসিংহের খুল্লতাত ভীমসিংহের পত্নী রূপসী পদ্মিনীর আত্মাহুতির কাহিনীকেন্দ্রিক পঞ্চাঙ্ক ঐতিহাসিক নাটক পদ্মিনী (১৯০৬)।
অমৃতলাল বসু:
প্রশ্ন ৩৮। অমৃতলাল বসুর পূর্ণাঙ্গ কমেডি দুটির নাম কি?
উত্তর। অমৃতলাল বসুর (১৮৫৩-১৯২৯) পূর্ণাঙ্গ কমেডি দুটির নাম খাস-দখল (১২১২) ও নবযৌবন।
প্রশ্ন ৩৯। অমৃতলালের প্রহসনগুলির নাম বল।
উত্তর। বাবু বৌমা, বিবাহ-বিভ্রাট, একাকার, চাটুজ্জে-বাঁড়ুজ্জে প্রভৃতি।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
প্রশ্ন ৪০। দ্বিজেন্দ্রলালের পৌরাণিক নাটক কি কি?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের (১৮৬৩-১৯১৩) পৌরাণিক নাটক তিনটি—সীতা (১৯০৮) পাষাণী (১৯০০), ভীষ্ম (১৯১৪)।
প্রশ্ন ৪১। দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটক কি কি?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটকগুলি যথাক্রমে, চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১), তারাবাঈ (১৯০৩), মেবার পতন (১৯০৮), দুর্গাদাস (১৯০৫), নূরজাহান (১৯০৮), সাজাহান (১৯০৯)।
প্রশ্ন ৪২। দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকগুলিকে প্রহসন, নাট্যকাব্য, ঐতিহাসিক নাটক ও সামাজিক নাটক—এই চারভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন ৪৩। দ্বিজেন্দ্রলালের প্রহসনাত্মক নাটকগুলির নাম বলো।
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের প্রহসন ও বিদ্রূপাত্মক নাটকগুলি যথাক্রমে—কল্কি অবতার (১৮৯৫), বিরহ (১৮৯৭), ত্র্যহস্পর্শ (১৯০০), প্রায়শ্চিত্ত (১৯০২), পুনর্জন্ম (১৯১৩), আনন্দবিদায় (১৯১২)।
প্রশ্ন ৪৪। দ্বিজেন্দ্রলালের নাট্যকাব্য কোনগুলি ?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের নাট্যকাব্যগুলি হল—পাষাণী (১৯০০), সীতা (১৯০৮), ভীষ্ম (১৯১৪)।
প্রশ্ন ৪৫। দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটক কোনগুলি?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটকগুলি যথাক্রমে—তারাবাঈ (১৯০৩), রাণা প্রতাপ সিংহ (১৯০৫), দুর্গাদাস (১৯০৬), নূরজাহান (১৯০৮), মেবার পতন (১৯০৮), সাজাহান (১৯০৯), চন্দ্রগুপ্ত (১৯১১), সিংহলবিজয় (১৯১৫)।
প্রশ্ন ৪৬। নূরজাহান ও সাজাহান নাটকের বিষয়বস্তু কি?
উত্তর। নূরজাহান ও সাজাহান নাটকে জাহাঙ্গীর ও সাজাহানের পারিবারিক জীবনের ওপর লক্ষ্য রেখে অন্তর্দ্বন্দ্ববহুল চিত্র রূপায়িত হয়েছে।
প্রশ্ন ৪৭। ‘রাণা প্রতাপসিংহ’ কোন্ নাটকের বিষয়বস্তু থেকে গৃহীত?
উত্তর। ‘রাণা প্রতাপসিংহ’ নাটকের বিষয়বস্তু টডের রাজস্থান কাহিনী থেকে গৃহীত।
প্রশ্ন ৪৮। দ্বিজেন্দ্রলালের সামাজিক নাটক কোন্ দুটি ?
উত্তর। দ্বিজেন্দ্রলালের সামাজিক নাটক দুটি হল - ‘পরপারে’ (১৯১২) ও ‘বঙ্গনারী’ (১৯১৬)।
প্রশ্ন ৪৯। দ্বিজেন্দ্রলালের কোন্ নাটক দুটি মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয় ?
উত্তর। ‘সিংহল বিজয়’ ও ‘বঙ্গনারী’ দ্বিজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ৫০। দ্বিজেন্দ্রলালের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাটক কোটি?
উত্তর। ‘সাজাহান’ দ্বিজেন্দ্রলালের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাটক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
প্রশ্ন ৫১। রবীন্দ্র-নাট্যের শ্রেণীবিভাগ কর।
উত্তর। রবীন্দ্রনাটকের শ্রেণীবিভাগ নিম্নরূপ—
ক. গীতিনাট্য—বাল্মীকি প্রতিভা, প্রকৃতির প্রতিশোধ, মায়ার খেলা, চিত্রাঙ্গদা, বিদায় অভিশাপ।
খ. নিয়মানুগ নাটক—রাজা ও রানী (১৮৮৯), বিসর্জন (১৮৯০), মালিনী (১৮৯৬), মুকুট (১৯০৮), প্রায়শ্চিত্ত (১৯০৯)।
গ. রঙ্গনাট্য—গোড়ায় গলদ, বৈকুণ্ঠের খাতা, হাস্য ও ব্যঙ্গকৌতুক, চিরকুমার সভা।
ঘ. রূপক-সাঙ্কেতিক নাটক—রাজা (১৯১০), অচলায়তন (১৯১২), ডাকঘর (১৯১২), ফাল্গুনী (১৯১৬), মুক্তধারা (১৯২৫), রক্তকরবী (১৯১৬), কালের যাত্রা (১৯৩২)।
প্রশ্ন ৫২। রবীন্দ্রনাথের নিয়মানুগ নাটক কোন্গুলি ?
উত্তর। রবীন্দ্রনাথের নিয়মানুগ নাটকগুলি রাজা ও রানী (১৮৮৯), বিসর্জন (১৮৯০), মালিনী (১৮৯৬), মুকুট (১৯০৮), প্রায়শ্চিত্ত (১৯০৯)।
প্রশ্ন ৫৩। ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটক ভেঙে রবীন্দ্রনাথ কোন্ নাটক রচনা করেছিলেন ?
উত্তর। ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটক ভেঙে রবীন্দ্রনাথ ‘পরিত্রাণ’ নাটক রচনা করেছিলেন।
প্রশ্ন ৫৪। ‘মুক্তধারা’, ‘রক্তকরবী” ও ‘কালের যাত্রা’ নাটক তিনটির বিষয়বস্তু কি?
উত্তর। আধুনিক জীবনের উৎকট সামাজিক, রাষ্ট্রিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে উক্ত নাটক তিনটি রচিত।
প্রশ্ন ৫৫। রবীন্দ্রনাথের একটি ঋতুনাট্য, একটি রূপকনাট্য নাম লেখ।
উত্তর। ফাল্গুনী –ঋতুনাট্য;
অচলায়তন—রূপকনাট্য।
প্রশ্ন ৫৬। রাজা ও রানীর সংশোধনী রূপ কোনটি ?
উত্তর। রবীন্দ্রনাথের ‘তপতী’ রাজা ও রানীর সংশোধিত রূপ।
প্রশ্ন ৫৭। রবীন্দ্রনাথের একটি কাব্যনাট্য, একটি রঙ্গনাট্য, একটি রূপকনাট্য ও একটি নৃত্যনাট্যের নাম উল্লেখ কর।
উত্তর। চিত্রাঙ্গদা – কাব্যনাট্য;
গোড়ায় গলদ—রঙ্গনাট্য;
রক্তকরবী—রূপকনাট্য;
শ্যামা—নৃত্যনাট্য।
প্রশ্ন ৫৮। গোড়ায় গলদের সংশোধিত রূপটি কোন্ গ্রন্থে লভ্য ?
উত্তর। ‘শেষরক্ষা’ নাটকটি গোড়ায় গলদের সংশোধিত রূপ ।
বিজন ভট্টাচার্য:
প্রশ্ন ৫৯। বিজন ভট্টাচার্য রচিত নাটকের একটি তালিকা দাও ।
উত্তর। বিজন ভট্টাচার্য একাঙ্ক ও পূর্ণাঙ্গ উভয় ধরনের নাটক লিখেছেন।
পূর্ণাঙ্গ নাটক : ১. নবান্ন; ২. অবরোধ; ৩. জতুগৃহ; ৪. গোত্রান্তর; ৫. ছায়াপথ; ৬. মাস্টারমশাই; ৭. দেবীগর্জন; ৮. ধর্মগোলা; ৯. কৃষ্ণপক্ষ; ১০. গর্ভবতী জননী; ১১. আজ বসন্ত; ১২. সোনার বাংলা; ১৩. গুপ্তধন; ১৪. চলো সাগরে।
একাঙ্ক নাটক : ১. আগুন; ২. জবানবন্দী; ৩. জননেতা; ৪. মরাচাঁদ; ৫. কলঙ্ক; ৬. সাগ্নিক; ৭. লাস ঘুইর্যা যাউক; ৮. চুল্লী; ৯. হাঁসখালির হাস। এছাড়া কয়েকটি গীতিনাট্যও নাট্যকার লিখেছেন।