-->

নাট্যকার কালিদাস

নাট্যকার কালিদাস
ভূমিকা:

বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ, ইংরেজি সাহিত্যে শেক্সপিয়রের মতো সংস্কৃত সাহিত্য মালঞ্চের সুনিপুণ মালাকার হলেন কালিদাস। তাঁর রচনাকৌশলে নানা বর্ণ, নানা গন্ধ বিলসিত কুসুম সজ্জায় সংস্কৃত সাহিত্যকানন সুসজ্জিতা। সে সজ্জার নয়ন বিলোভন সৌন্দর্যে হৃদয়বধূর অবগুণ্ঠন খুলে যায়, অপরূপ স্বপ্নবেশে জাগে রসের প্লাবন। সেই আনন্দ পরিবাহিনী রসধারা নৃত্য-পটিয়সী রূপসীর লীলায়িত গতি বিভঙ্গের ন্যায় কালিদাস কাব্যে উচ্ছ্বসিত সঙ্গীত মধুর ভাবতরঙ্গে প্রবাহিত হয়েছে। আবার কখনও তা উপলে উপলে ঠুং ঠাং ভাবে শব্দায়মানা পর্বত নিঃসৃত কল্লোলিনীর ন্যায় কালিদাস নাটকের জীবন-ভূমিতে ঘটনাবর্ত সৃষ্টি করে নরনারীর হৃদয় কন্দরে অশ্রুত ও অব্যক্ত মধুর বার্তা বহন করে চলেছে। সে বার্তা বুদ্ধি দিয়ে উপলব্ধি করতে হয় না, শ্রবণ মাত্রই তা হৃদয়ের সমগ্র দেশ জুড়ে বসে।

জীবনরসিক নাট্যকার কালিদাসের নাট্যভাবনায় রূপায়িত বস্তুময় জীবন সংসারে হাসিঅশ্রু, আনন্দ-বেদনা, আশা-নৈরাশ্যের আলেখ্যগুলি হল মালবিকাগ্নিমিত্রম্‌’, ‘বিক্রমোর্বশীয়ম্‌’, ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্‌

কালিদাস একাধারে কবি ও নাট্যকার। প্রাচ্যদেশীয় নাট্যকারদের মধ্যমণি কালিদাস সংস্কৃত নাট্যকারদের ক্ষেত্রে তো বটেই, প্রাকৃত ভাষায় ও নব্যভারতীয় আর্যভাষায় যাঁরা নাটক লিখে যশস্বী হয়েছেন তারা সকলেই অল্পবিস্তর কালিদাসের কাছে ঋণী। কালিদাস তাঁর নাটকে অলংকার শাস্ত্রের সুনিপুণ প্রয়োগ ঘটিয়েছেন এবং নাট্যকারদের হৃদয়ে চিরকালীন আসন করে নিতে পেরেছেন।

নাট্যকার কালিদাস:

মালবিকাগ্নিমিত্রম্‌:

কেউ কেউ মনে করেন, পঞ্চাঙ্ক মালবিকাগ্নিমিত্রকালিদাসের প্রথম নাটক। নাটকের প্রস্তাবনায় একে নতুনতর রচনা বলা হয়েছে (কাব্যং নবম্‌)। কালিদাস নিজেও সূত্ৰধারের মুখে একে নতুন নাটক বলেছেন। কালিদাসের প্রতিভার যোগ্য স্বাক্ষর এই নাটকেও বর্তমান।

নাটকের নায়ক সুঙ্গবংশের প্রতিষ্ঠাতা অগ্নিমিত্র ঐতিহাসিক চরিত্র। বিদর্ভ রাজ্যের অন্যতম সামন্ত মাধব সেনের ভগ্নী মালবিকাকে পত্নীরূপে লাভ করেছিলেন। এই বৃত্তান্তটুকুই ইতিহাস আশ্রিত। তাছাড়া নাটকে ইতিহাসের অনুবৃত্তি বিশেষ নেই। প্রেমের কবি কালিদাস এই নাটকে প্রেমের বিচিত্র গতি ও বিলাসকেই রূপায়িত করেছেন।

ঘটনাচক্রে অপরূপ রূপলাবণ্যবতী বিদর্ভকন্যা মালবিকা পাটরানী ধারিণীর পরিচারিকা রূপে অগ্নিমিত্রের অন্তঃপুরে স্থান লাভ করেন। যাতে মালবিকা রাজার চোখে না পড়ে পাটরানী সেই উদ্দেশ্যে মালবিকাকে অভিনয় শিক্ষার জন্য অন্যত্র পাঠান। কিন্তু রাজার একটি চিত্রপটে মালবিকার চিত্র দেখে এবং একদিন মালবিকার অভিনয় দেখে তার প্রতি প্রণয়াসক্ত হন। বিদূষকের চেষ্টায় ও কৌশলে অগ্নিমিত্র ও মালবিকার মিলন ঘটে। এতে পাটমহিষী ধারিণী ক্রুদ্ধ হয়ে মালবিকাকে অবরুদ্ধ করেন। শেষপর্যন্ত পাটমহিষী যখন জানতে পারলেন মালবিকা রাজনন্দিনী তখন তার ক্রোধ শান্ত হয় এবং তিনি উদ্যোগী হয়ে মালবিকাকে অগ্নিমিত্রের করে অর্পণ করেন।

এই নাটকে রবীন্দ্রনাথ প্রেমের কল্যাণময় রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘It must never be thought that in this play the poet's deliberate object was to pander to his royal patron by inviting him to a literary orgy of lust and passion.”

বিক্রমোৰ্বশীম্‌:

বিক্ৰমোবশী পাঁচ অঙ্কে বিভক্ত। এতে পুরূরবা ও ঊর্বশীর প্রেম কাহিনী বিবৃত হয়েছে। যজুর্বেদে পুরূরবা ও ঊর্বশী অগ্নিজনন কাষ্ঠমাত্র কিন্তু ঋগবেদে পুরূরবা ও ঊর্বশী প্রেমিক-প্রেমিকা। পুরূরবা ও ঊর্বশীর প্রেমকাহিনী পুরাণের নানা স্থানে বর্ণিত হয়েছে। কালিদাস এই সব উৎস থেকে উপাদান সংগ্রহ করে বিক্রমোৰ্বশীরচনা করেছেন। ঘটনা-বিন্যাস কালিদাসের নিজস্ব। চরিত্রগুলিও কালিদাসের প্রতিভা স্পর্শে বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে। পাটমহিষী কাশীরাজপুত্রী দেবী ঔশীনরীর চরিত্র কালিদাসের মৌলিক সৃষ্টি। নাট্যকার বেদ-পুরাণ বর্ণিত বহুখ্যাত ঊর্বশী বিদায় দিয়ে নাটক শেষ করেননি। তাই বিক্রমোর্বশী মিলনান্ত নাটক। এই কাহিনী দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় ঐতিহ্যের সূত্রে সাহিত্যে বিশিষ্ট হয়ে রয়েছে।

রাজা পুরূরবা একসময় অসুর লাঞ্ছিতা ঊর্বশীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার প্রতি অনুরক্ত হন। এদিকে দেবরাজ ইন্দ্র ঊর্বশী উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে স্বর্গে রাজাকে ডেকে পাঠালেন। ঊর্বশীও সখী চিত্রলেখার সঙ্গে স্বর্গে গমন করেন। কিন্তু মন পড়ে থাকে রাজার কাছে। রাজ্যে ফিরে রাজাও ঊর্বশীর চিন্তায় বিভোর। রাজার উন্মনাভাব মহাদেবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তা অনুসন্ধানের জন্য নিপুণিকাকে প্রেরণ করেন। এদিকে ঊর্বশী অনুরাগবশে একটি পরীক্ষা করেন এবং শেষপর্যন্ত রাজার কাছে আত্মপ্রকাশ করেন। ঠিক মিলন মুহূর্তে স্বর্গ থেকে খবর আসে, ঊর্বশীকে অভিনয় করতে হবে। অভিনয়ের সময় লক্ষ্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ঊর্বশী ভুলক্রমে পুরুষোত্তমকে পুরূরবা বলে ফেলেন। এতে ভরতমুনি ঊর্বশীকে স্বর্গভ্রষ্ট হতে অভিশাপ দেন। ইন্দ্র তখন অনুগ্রহ করে বলেন ঊর্বশী মর্তে গিয়ে পুরূরবার সঙ্গে মিলিত হবেন এবং রাজার ঔরসজাত পুত্র জন্ম নেবে। সেই পুত্রের মুখ দর্শন করলে ঊর্বশী পুনরায় স্বর্গে ফিরে যাবেন। শেষ পর্যন্ত মিলনের আনন্দ দিয়ে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।

অভিজ্ঞান শকুন্তলম্:

কালিদাসের অমর সৃষ্টি ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি অভিজ্ঞান শকুন্তলম্‌’—(কালিদাসস্য সর্বম অভিজ্ঞান শকুন্তলম’) বিদেশে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম পরিচিতি কালিদাসের শকুন্তলার মাধ্যমে। কালিদাসের লোকাতিশায়িনী প্রজ্ঞা এবং বিশ্বতোমুখী প্রতিভার চরম ও পরম সৃষ্টি এই নাটক। শকুন্তলা রূপী হংস যেন তার কল্পনারূপী উদ্যান বাটিকায় অমৃতময় পারিজাত লতিকা আবিলতায় ভরা দেহ সরোবরে পঙ্কেজাত প্রেমের পদ্ম ক্রমে ত্যাগ, তিতিক্ষা, ধৈর্য, সংযম ও বৈভবের শীতল বারি সিঞ্চনে পূর্ণ বিকশিত সৌন্দর্যে ও ধর্মীয় পরিবেশে কিভাবে পূজার সামগ্রী হয়ে ওঠে অভিজ্ঞান শকুন্তলম্‌' তারই বিশিষ্ট নাট্যরূপ।

নাটকের বিষয়বস্তু সর্বজনস্বীকৃত। মহাভারতের কাহিনীকে তিনি ভিন্নভাবে সাজিয়েছেন। বিদ্যাসাগর এই নাটক সম্পর্কে বলেছেন—“মহাভারতের দুষ্যন্ত শকুন্তলার যে উপাখ্যান আছে তাহা অবলম্বন করিয়া কবি অভিজ্ঞান শকুন্তলম' রচনা করিয়াছেন। উভয়বিধ উপাখ্যান দৃষ্টিগোচর করিলে বুঝিতে পারা যায় যে কালিদাস মহাভারতের উপাখ্যানে কি অদ্ভুত কৌশল ও অলৌকিক চমৎকারিত্ব সমাবেশিত করিয়াছেন। ফলত অভিজ্ঞান শকুন্তলম্কালিদাসের চমৎকারিনী কল্পনা শক্তি ও চিত্তহারিনী রচনা শক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শিত হইয়াছে। 

মৃগয়াবিহারী রাজা দুষ্যন্ত কন্বাশ্রমে প্রবেশ করে কুসুমপেলবা শকুন্তলার রূপে মুগ্ধ হয়ে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করে রাজধানীতে ফিরে যায়। শকুন্তলার কর্তব্যের অবহেলার শাস্তি স্বরূপ দুর্বাসার অভিশাপ তার উপর বর্ষিত হয়। এরপর চতুর্থ অঙ্কে তপোবনভূমির মঙ্গল আশীর্বাদ পতি মিলনের প্রত্যাশায় শকুন্তলা রাজদ্বারে পৌঁছে যান। কিন্তু রাজা শকুন্তলাকে পরস্ত্রী জ্ঞানে প্রত্যাখ্যান করে। প্রত্যাখাতা শকুন্তলা মা মেনকার সাহায্যে স্বর্গে মারীচের তপোবনে এসে দুঃখের তপস্যায় আত্মনিযোগ করেন। অবশেষে ঘটনা পরম্পরায় পুত্র সর্বদমন সহ শকুন্তলার সঙ্গে দুষ্যন্তের স্বর্গীয় পরিবেশে পুনর্মিলন ঘটে।

নাট্য-প্রতিভার বৈশিষ্ট্য:

R. W. Frazer কালিদাসের নাটকের শিল্পিত রূপের প্রশংসা করে জানিয়েছেন, ‘‘highest artistic form of the classic drama.’’

১) কালিদাসের নাটকের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল তার শিল্পসংযমযা ইউরোপীয় নাট্যশিল্পে দেখা যায় না।।

২) নাট্যবস্তুর উপযোগী করে চরিত্র সৃষ্টি ও চরিত্র বিশ্লেষণে কালিদাসের পারদর্শিতা অতুলনীয়।

৩) কাহিনীর ক্রমিক অগ্রগতি এবং নাটকীয় দ্বন্দ্ব ও ঘাত-প্রতিঘাত কালিদাসের নাটকের অন্যতম সম্পদ।

৪) কাব্যধর্মিতা তার নাটকের প্রধান আকর্ষণ। চিত্রকল্পের সঙ্গে ভাষার মাধুর্য সংকেতময় ভাষায় ভাবের ব্যঞ্জনা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কালিদাস অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কল্পনার দীপ্তিতে তিনি নরনারীর হৃদয় গহনে প্রবেশ করেছেন।

৫) নানাভাব ও অবস্থার মধ্য দিয়ে লোকবৃত্তের সুষম ক্রমিক অগ্রগতি কালিদাসের নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে পাত্রপাত্রীর ভাবদ্বন্দ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ঘটনা সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনি অনবদ্য। যেমনহংসপদিকার সঙ্গীত শ্রবণে পতিগামিনী শকুন্তলার ভাগ্যে কি ঘটবে ভেবে দর্শকরা শকুন্তলার ভাবনা ভাবতে বসেন।

৬) উপমা চয়নে কালিদাসের চমৎকারিত্ব সর্বজনস্বীকৃত। সেজন্য বলা হয় উপমা কালিদাসস্য।উপমার সৌন্দর্য নির্ভর করে উপমানের চমৎকারিত্বে। সেক্ষেত্রে কালিদাসের কল্পনা বিশ্বাভিসারী। কেননা উপমা চয়নে কালিদাসের দৃষ্টি স্বর্গ-মর্ত্য-বিহারী। অভিজ্ঞানম শকুন্তলাম্‌নাটকে কালিদাস শকুন্তলার রূপবর্ণনার জন্য প্রতিবস্তুপমা অলংকারে মালিনীছন্দে প্রথম অঙ্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা অনুপম

সরসিজমনুবিদ্ধং শৈবলেনাপি রম্যং

মলিনমপি হিমাংশোর্লক্ষ্ম লক্ষ্মীং তনোতি।

ইয়মধিকমনোজ্ঞা বল্কলেনাপি তন্বী

কিমিব হি মধুরাণাং মণ্ডনং নাকৃতিনাশ্‌।।(১/১৮)

অর্থাৎ পদ্ম শেওলাযুক্ত হয়েও সুন্দর দেখায়। চন্দ্রের কলঙ্ক মলিন হয়েও সৌন্দর্য বিস্তার করে। এই কৃশাঙ্গী বল্কলেও অধিক মনোহর রূপ ধারণ করেছে। সুন্দর আকৃতিতে কোন্ বস্তুই না মানায়?

আবার মালোপমা অলংকারে শিখরিনী ছন্দে দ্বিতীয় অংকে শকুন্তলার রূপ বর্ণনা—‘অনাঘ্রাতং পুষ্পং...ইত্যাদি শ্লোক চমকপ্রদ রূপ লাভ করেছে।

৭) শকুন্তলা নাটকে ভাষার বৈচিত্র্য আকর্ষণীয়। সংস্কৃত, শৌরসেনী, মাগধী ও মাহারাষ্ট্রী, প্রাকৃত প্রভৃতি মিশ্রভাষায় নাটকটি রচিত। শুধু তাই নয়, এই মিশ্রভাষা প্রমাণ করে, সমাজে শ্রেণিবিন্যাসের স্বরূপকে। কারণ রাজা, বিদূষক, ধীবর ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলেছে।

৮) কালিদাস ছিলেন প্রেম ও সৌন্দর্যের কবি। তিনি শিল্পী। কালিদাসের নাটক এই শিল্পনৈপুণ্যের পরিচয়। বহুবল্লভ নায়কের জীবনে প্রেমকে তিনি সম্ভোগের বস্তুমাত্র করে রাখেননি, বিরহের অগ্নিস্পর্শে তাকে পরিশুদ্ধ ও উজ্জ্বল করে তুলেছেন এবং প্রেমের বিশুদ্ধতা, গভীরতা ও সহনশীলতাকে পরিস্ফুট করে সুষম সৌন্দর্যবোধ ও রুচিজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন।

৯) কালিদাসের প্রকৃতিদৃষ্টিও উল্লেখযোগ্য। মালিনী নদী, বল্কল শোভিত বৃক্ষ, মধুকর গুঞ্জন, আশ্রমে নির্ভয় বনহরিণের সঞ্চরণসব মিলিয়ে শান্তরসাস্পদ আশ্রমের পবিত্রতা ফুটে উঠেছে শকুন্তলা' নাটকে। তা মাটি থেকে দেখা মাটির সৌন্দর্য। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ বলেছেন—“অভিজ্ঞান নাটকে অনসূয়া-প্রিয়ম্বদা যেমন, কন্ব যেমন, দুষ্যন্ত যেমন, তপোবন প্রকৃতিও একজন বিশেষ পাত্র।

উপসংহার:

যুগন্ধর কবি কালিদাসের প্রতিভা অপরিমেয়। তাঁর কবিখ্যাতি ভারতবর্ষের সীমা অতিক্রম করে বহির্ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রখ্যাত জার্মান মনীষী গ্যেটে বলেছেন, “কেহ যদি তরুণ বৎসরের ফুল ও পরিণত বৎসরের ফল, কেহ যদি মর্ত্য ও স্বর্গ একত্র দেখিতে চান তবে শকুন্তলায় তাহা পাইবেন।কালিদাস মানবাতাবাদী কবি, মানবমহত্ত্বকে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন বলেই কালিদাস পরবর্তী মানবসমাজে এতখানি গ্রহণীয় হয়ে থাকতে পেরেছেন। ভারতীয় পণ্ডিতগণেরা কালিদাসের অদ্বিতীয় স্বীকার করে বলেছেন, ‘পুরা কবিনাং গণনাপ্রসঙ্গে কনিষ্ঠিকাধিষ্ঠিতকালিদাসঃ।